গত ২৪ আগস্ট ২০২৪ প্রথম ধাপে নোয়াখালী'তে প্রায় ৩ টন এর মত খাবার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
যে স্থানগুলোতে ১৯৮৮ এর পরে এমন পানি হয় নি, সেই স্থান গুলোতে এখন বুক সমান বা কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরো বেশি পানি। স্থানীয় মানুষ গুলো কোন প্রস্তুতি নেওয়ার আগেই অনেক স্বপ্ন নিমিশে শেষ হয়ে গিয়েছে।
যে মানুষ গুলো আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে, এরা অনেকেই অসচ্ছল নয়; শুধু পরিস্থিতির স্বীকার। এমন পরিস্থিতি আমি, আপনি যে কেউ পড়তে পারি।
নোয়াখালীর প্রধান সড়ক ছাড়া সব গুলো সড়ক-ই কম বেশি পানির নিচে। এই পরিস্থিতিতে আমরা যা দিয়েছি; তা অতি নগন্য, প্রয়োজনের তুলনায়। তবে দুর্যোগ এর এই সময়ে পাশে থাকতে পেরেছি এটাই কম কিসে!
আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার বিতরন করা হয় প্রায় তিন টন উপহার সামগ্রী এবং বিতরণ স্থান গুলো ছিল:
- কামালপুর (চাটখিল)
- মির ওয়ারিশপুর
- চন্দ্রগঞ্জ
- খানপুর (কবিরহাট)
- খোয়াজপুর
- নিত্যনন্দপুর
- ছয়ানী
এবারের বিতরণে আলাদা আলাদা পরিবারের হাতে না দিয়ে, নির্ধারিত আশ্রয় কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্তদের হাতে উপহার সামগ্রীগুলো হস্তান্তর করা হয়।পরবর্তীতে কেন্দ্রিয় ভাবে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে সকলের জন্য রান্না এর আয়োজন করা হয়।
উপহার সামগ্রীর তালিকায় ছিলঃ
- চাল
- ডাল
- তেল
- পেয়াজ
- বিস্কুট
- স্যালাইন
- ঔষধ
- টিস্যু
- মোমবাতি
- গ্যাস লাইট
- খাবার পানি
- স্যানেটারী প্যাড
- লবন
- আলু
ইনশাআল্লাহ আসন্ন শুক্রবার স্বেচ্ছাসেবী’রা যাচ্ছে ফেনীতে। "মানবতার কল্যানে কিংবদন্তী সবখানে" এই নীতি কথায় আমাদের মানবিক কার্যক্রম চলমান থাকবে হোক সেটা ছোট পরিমান।